December 22, 2024, 8:58 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, পৃথিবীতে ক্ষমতার লোভে অনেক রাষ্ট্রনায়ক এবং নেতাদের হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে স্বাধীনতার কয়েক বছরের মধ্যেই, স্বাধীনতার স্থপতিকে ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের হত্যার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি শুধু রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য ছিল না স্বাধীনতা বিরোধীরা মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এ হত্যাকান্ড পরিচালনা করেছিল।
আজ ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় শাখার আয়োজনে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জাতীয় শোকদিবসের আলোচনা সভায় মাহবুবউল আলম হানিফ প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার কথা বলতে গেলে যেমন বঙ্গবন্ধুর কথা আসবেই ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে গেলে স্বাধীনতার কথা আসবেই, তাই বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা দু’টি অভিন্ন শদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাসে দেখা যায় বৃটিশ শাসনের ভারতে তিতুমীর, বাঘাযতীন, সুভাষ বোস, প্রীতিলতা সেন, সূর্যসেনের মতো মহান নেতারা বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। এগুলো পরিপূর্ণতা পায়নি। বঙ্গবন্ধু বাংলা ভ‚-খন্ড থকে বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। সেই আহবানে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা।
তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে। কারণ দেশ আজ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ও বিপক্ষে দু’টি ধারায় বিভক্ত হতে চলেছে। এ বিভক্তি থেকে বেড়িয়ে এসে আমরা যদি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ না হতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে পরবে। এ কাজের অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতি আহবান জানান মাহবুবউল আলম হানিফ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার ও কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সেলিম তোহা।
জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে সভার সূচনা হয়। শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। মাহবুবউল হানিফ ইবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। ক্যাম্পাস থেকে বিদায়ী লগ্নে তিনি একটি গাছের চারা রোপন করেন।
Leave a Reply